সরকারি অর্থ ব্যবস্থার ধারণা

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা | NCTB BOOK

সরকারি অর্থ ব্যবস্থা হলো অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। সাধারণভাবে সরকারি অর্থ ব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের আয় ও ব্যয় সক্রান্ত নীতি ও পদ্ধতিকে বুঝায়। এ সম্পর্কে অধ্যাপক ডালটন বলেন, 'সরকারি অর্থব্যবস্থা সরকারের আয়-ব্যয় এবং এদের একটির সঙ্গে অপরটির সমন্বয় বিধানের কার্যাবলি আলোচনা করে। অর্থনীতির এ শাখায় রাষ্ট্রের সব ধরনের আয়-ব্যয়, ঋণ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা ও সেসবের সমাধানের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে।

বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎস

বাংলাদেশ সরকার জনকল্যাণ সাধন, প্রশাসন পরিচালনা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে প্রচুর অর্থ আয় করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: ক. কর রাজস্ব ও খ. কর বহির্ভূত রাজত্ব। নিচে বাংলাদেশ সরকারের আয়ের উৎসগুলোর বিবরণ দেওয়া হলো। কর রাজস্ব  বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণ, বিভিন্ন ব্যবসায় ও শিল্প কারখানার ওপর যে কর ধার্য করে তাথেকে প্রাপ্ত জায়কে কর রাজস্ব বলে। 

বাংলাদেশ সরকারের কর রাজস্ব আয়ের উৎসসমূহ নিম্নরূপ :

১. বাণিজ্য শুষ্ক : বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস হলো বাণিজ্য শুল্ক। দেশের আমদানি ও রপ্তানিকৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে বাণিজ্য শুল্ক বলা হয়। 

২. আবগারি শুল্ক : দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত দ্রব্যের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আবগারি শুষ্ক বলা হয়। রাজস্ব সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষতিকর দ্রব্যের ভোগ হ্রাস করার উদ্দেশ্যে আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রধানত চা, সিগারেট, চিনি, তামাক, কেরোসিন, ওষুধ, স্পিরিট দিয়াশলাই, গাঁজা, আফিম প্রভৃতি প্রব্যের ওপর আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়।

৩. আয়কর বাংলাদেশ সরকারের আয়ের এটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস আয়কর। জনসাধারণের ব্যক্তিগত আয়ের ওপর যে কর ধার্য করা হয় তাকে আয়কর বলা হয়। যাদের আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে তাদের নিকট থেকে প্রগতিশীল (Progressive) হারে আয়কর আদায় করা হয়।

৪. মূল্য সংযোজন কর মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে কর ব্যবস্থায় ভ্যাট (Value Added Tax) নামে পরিচিত। বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানিকৃত দ্রব্য ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দ্রব্য এবং নির্ধারিত কতকগুলো সেবা খাতের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।

৫. সম্পূরক শুল্ক অনেক দ্রব্যসামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক বা আবগারি শুল্ক বা ভ্যাট আরোপের পরও অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপ করা হয়, তাকে সম্পূরক শুল্ক বলা হয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।

৬. ভূমি রাজস্ব ভূমি ভোগ দখলের জন্য সরকারকে প্রদত্ত খাজনাই ভূমি রাজস্ব নামে পরিচিত। সরকার ২৫ বিধা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করার ফলে এ খাতে সরকারের আয় কিছুটা কম।

৭. নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প বিভিন্ন দলিলপত্র ও মামলা মকদ্দমার আবেদনপত্র ব্যবহারের জন্য স্ট্যাম্প, পাসপোর্ট, বিনিময় বিল ইত্যাদি খাতে সরকার প্রচুর অর্থ উপার্জন করে।

৮. রেজিস্ট্রেশন : দলিলপত্র রেজিস্ট্রি বা নিকখন করার জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি এবং মামলা মকদ্দমার জন্য কোর্টফি প্রদান করতে হয়। এতেও সরকারের যথেষ্ট আয় হয়। 

৯. যানবাহন কর বিভিন্ন প্রকার যানবাহন নিবন্ধনের জন্য প্রদত্ত করকে যানবাহন কর বলে।

১০. মাদক শুষ্ক : সরকার মদ, গাঁজা, আফিম ইত্যাদি মাদক দ্রব্যের ওপর শুল্ক বসিয়ে কিছু আয় করে। 

১১. বিদ্যুৎ শুষ্ক। বিদ্যুতের ওপর আরোপিত শুল্ক থেকেও সরকারের আয় হয়।

১২. অন্যান্য কর ও শুল্ক উপরে বর্ণিত শুষ্ক ও কর ছাড়াও আরও কিছু কর ও শুল্ক থেকে সরকার আয় করে। এর মধ্যে রয়েছে আমোদ প্রমোদ কর, সম্পত্তি কর, পেট্রোল ও গ্যাসের ওপর শুষ্ক, বিদেশ ভ্রমণের ওপর -শুষ্ক, সেচ কাজ ও যন্ত্রপাতির ওপর কর ইত্যাদি প্রধান।

কর বহির্ভূত রাজস্ব বাংলাদেশ সরকার কর ও শুল্ক ছাড়াও আরও অনেক উৎস হতে রাজস্ব সংগ্রহ করে। এ উৎসগুলো থেকে অর্জিত রাজস্বকে কর বহির্ভূত রাজ্য বলে। নিম্নে এসব উৎসসমূহ আলোচনা করা হহলোঃ 

কর-বহির্ভূত রাজস্ব

১. লভ্যাংশ ও মুনাফা সরকার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, একক সরকারি আয়ের উৎস সম্প্রসারিত করার যেমন- ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপায় উল্লেখ কর। (Non-financial institution), পার্ক, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি থেকে বছর শেষে লভ্যাংশ ও মুনাফা পেয়ে থাকে।

২. সুদ সরকার বিভিন্ন আর্থিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়ে থাকে। এ বাবদ প্রাপ্ত শুল্ক থেকে কিছু আয় হয়। 

৩. অর্থনৈতিক সেবা: সরকার জনসাধারণকে কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেও আয় করে। এগুলোরমধ্যে পর্যটন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ ও সেবা উল্লেখযোগ্য। আমদানি-রপ্তানি আইনের আওতায় প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন স্কিম, বিমা আইনের আওতায় প্রাপ্তি এবং সমবায় সমিতিসমূহের অডিট স্কিম, সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন ও নবায়ন স্কিম প্রভৃতিও কর বহির্ভূত রাজস্ব আয়।

৪. সাধারণ প্রশাসন : বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রকার "ফি" আলায় করে।

৫. রেলওয়ে : রেলওয়ে সরকারি আয়ের একটি উৎস। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হলে এ খাত থেকে অধিকতর আয় সম্ভব। 

৬. ডাক বিভাগ : দেশের ডাক বিভাগ সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় বিধায় এটিও সরকারি আয়ের অন্যতম উৎস।

৭. তার ও টেলিফোন তার ও টেলিফোন ব্যবস্থা সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয় বিধায় এটি সরকারের আয়ের আরও একটি উৎস।

৮. বন বন থেকেও সরকার প্রচুর অর্থ আয় করে থাকে। বাংলাদেশের বনাঞ্চল থেকে কাঠ, বাঁশ, জ্বালানি, মধু, মোম ইত্যাদি বনজ সম্পদ বিক্রয়ের মাধ্যমে সরকার আয় করে।

৯. টোল ও লেভি টোল ও লেভির মাধ্যমে সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করে। টোল হলো- একধরনের রাজস্ব আয় যা আয়ের ওপর নির্ধারিত আয়করের মতো নয়। সরকার জনগণের সেবা বাবদ বিভিন্নভাবে এ কর গ্রহণ করে, যেমন: ব্রিজ, সেতু, কার্লভাট, ঘাট, পারাপার, হাট-বাজার প্রভৃতি থেকে সরকার অর্থ আদায় করে যা টোল হিসেবে পরিচিত। লেভি হলো বিশেষ বিশেষ সময়ে আরোপিত জনগণের নিকট থেকে আদায়কৃত বিশেষ ধরনের রাজস্ব, যেমন পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট রাজস্ব।

১০. ভাড়া ও ইজারা সরকারি সম্পত্তি ভাড়া ও ইজারা নেওয়ার মাধ্যমেও সরকার আয় করে। 

১১. জরিমানা, দণ্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ জরিমানা, দণ্ড, বাজেয়াপ্তকরণ প্রভৃতির মাধ্যমে সরকার প্রতি বছর অর্থ আয় করে থাকে।বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের খাতসমূহ

বাংলাদেশ সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। এছাড়া সরকারকে প্রশাসনিক, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক এবং অন্যান্য সেবাধর্মী কর্মকান্ডেও বায় করতে হয়। সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা। সরকার দেশের বার্ষিক বাজেটে রাজস্ব ও উন্নয়নমূলক-এ দু'রকম ব্যয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে।

বাংলাদেশ সরকারের ব্যয়ের প্রধান খাতগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো

১. প্রতিরক্ষা প্রতিরক্ষা বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের অন্যতম প্রধান খাত। প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যুদ্ধের অগ্রসর ও সাজসরঞ্জাম ক্রয় ইত্যাদি বাবল বাংলাদেশ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে।

২. বেসামরিক প্রশাসন সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এসবের বিভাগসমূহের পরিচালনা ও উন্নয়ন, কর্মচারীদের বেতন ভাতা ইত্যাদির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে।

৩. শিক্ষা বাংলাদেশ সরকারের বায়ের গুরুত্বপূর্ণ খাত হলো শিক্ষা। শিক্ষা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে অশিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সরকারকে সাম্প্রতিককালে এ খাতে প্রচুর ব্যয় করতে হচ্ছে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসার জন্য অনুদান, উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা বিস্তারের নতুন নতুন কার্যক্রমে যথেষ্ট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে।

৪. স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, জনসংখ্যা

নিয়ন্ত্রণ, শিশুকল্যাণ কর্মসূচি, মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচি প্রভৃতি খাতে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে।

৫. ঋণ ও সুদ পরিশোধ দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকারকে

একক। বাংলাদেশ সরকারের বারের দেশের অভ্যন্তর হতে এবং বিদেশ হতে প্রচুর পরিমাণে ঋণগ্রহণ করতে খাতসমূহ চিহ্নিত কর। হয়। এসব ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ বাবদ সরকারকে প্রতিবছর একক বাংলাদেশ সরকারের অপ্রত্যাশিত প্রচুর পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

৬. কৃষি, মৎস্য ও পশু পালন : বাংলাদেশ সরকার এই খাতসমূহে প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকে।

৭. পুলিশ, আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তি বজায় রাখার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনী অপরিহার্য। আবার সীমান্ত রক্ষা ও চোরাচালান রোধের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ গড়ে তোলা হয়েছে। এই তিন বৃহৎ বাহিনীর জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করে।

৮. বিচার বিভাগ ও কারা বিভাগ বিচার বিভাগ ও কারা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন-ভাতা এবং এই দুই বিভাগের ব্যবস্থাপনায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

৯. রাজস্ব আদায়কারী বিভাগসমূহ : বাংলাদেশ সরকার আয়কর বিভাগ, বাণিজ্য শুল্ক বিভাগ, আবগারি শুল্ক বিভাগ, ভূমি রাজস্ব বিভাগ প্রভৃতির ব্যয়তার মেটানোর জন্য রাজ্যের এক বিরাট অংশ বায় করে।

১০. বৈদেশিক বিষয়াবলি : বিদেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, বহির্বিশ্বে দেশের ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য দূতাবাস প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার জন্য সরকারকে প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

১১. অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা সরকারকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের জন্য প্রতিবছর প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

১২. সমাজ কল্যাণমূলক কার্যক্রম : সরকারকে প্রতি বছর সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য প্রচুর অর্থ বরাদ্দ রাখতে হয়।

১৩. অপ্রত্যাশিত ব্যয় : বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, মহামারি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও তৎসৃষ্ট জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারকে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করতে হয়। 

১৪. অন্যান্য খাত : উপরের উল্লিখিত খাত ছাড়াও সরকার অন্য যেসব খাতে অর্থ ব্যয় করে থাকে তা হলো- সচিবালয়, হিসাব নিরীক্ষা, জ্বালানি ও শক্তি, ধ্বনি উৎপাদন এবং নির্মাণ প্রভৃতি।

বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছরই উপরোক্ত খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। অনেক নতুন নতুন খাত ও ব্যায়ের পরিমাণ প্রতি বছর ক্রমশই বাড়ছে। তবে দেশের সমষ্টিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির পরিধি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion